, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ইসরাইলে শিপিং স্থগিত করল চীনা কোম্পানি কসকো

  • আপলোড সময় : ০৮-০১-২০২৪ ১২:০৬:৩৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০১-২০২৪ ১২:০৬:৩৯ অপরাহ্ন
ইসরাইলে শিপিং স্থগিত করল চীনা কোম্পানি কসকো
এবার ইসরাইলে সব ধরনের পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে চীনের বৃহত্তম শিপিং সংস্থা কসকো। গতকাল রবিবার ৭ জানুয়ারি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম গ্লোবসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে ঠিক কি কারণে চীনা শিপিং কোম্পানিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিবেদেন কিছু উল্লেখ করেনি গ্লোবস।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইসরাইলে অবস্থিত কসকোর অফিসে রয়র্টাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে, তারা কোনো সাড়া দেয়নি। এছাড়া ইসরাইলের বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রতিবেদনটি না দেখার আগে মন্তব্য করতে চাননি। 

এদিকে গ্লোবসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই শিপিং কোম্পানিটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম কনটেইনার শিপিং লাইন। বিশ্ব বাণিজ্যে প্রায় ১১ শতাংশ এই কোম্পানিটির দখলে রয়েছে।

যদিও লোহিত সাগরে হুতি গোষ্ঠীর হামলার কারণে ডেনিশ শিপিং কোম্পানি মায়েরস্কসহ অন্যান্যরা কোম্পানিকে পণ্য পরিবহণে ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে, সেই তুলনায় কসকো তেমন একটা হুমকির সম্মুখীন নয়। যার পেছনের কারণ হচ্ছে চীনের সঙ্গে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষক ইরানের সম্পর্ক।
 
কসকোর এই সিদ্ধান্তে কেবল দূরপ্রাচ্য ও ইসলাইলের মধ্যেকার বাণিজ্য প্রভাবিত হবে, তা কিন্তু নয়। এর প্রভাব আরও বড় পরিসরে পরিলক্ষিত হবে। কারণ ইসরাইলি শিপিং লাইন জিমের সঙ্গে এই বাণিজ্য পরিচালনা করে। কসকোর হুট করে নেয়া এই পদক্ষেপের কারণে জিম পড়ছে জাহাজ স্বল্পতায়। ফলে বাড়বে জাহাজ ভাড়া।
 
গ্লোবসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসরাইলে পণ্য পরিবহনকারী যেকোনো কোম্পানির জাহাজে হামলার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই কোম্পানির কনটেইনারবাহী জাহাজে হুতিদের হামলার শঙ্কা ক্ষীণ।

কারণ ইরানের রফতানি করা তেলের ৯০ শতাংশ গ্রাহকই চীন। কাজেই তাদের সিদ্ধান্তে যে চলমান লোহিত সাগরের পরিস্থিতি প্রভাব ফেলে, তা স্পষ্ট। তাই তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন জেগেছে। তাছাড়া নিজেদের এ সিদ্ধান্তের কথা কসকো এখনও আন্তর্জাতিক শিপারদের অবহিত করেনি।
সর্বশেষ সংবাদ